গ্রিক শব্দ Cyto (=কোষ) এবং plasma (=সংগঠন) থেকে সাইটোপ্লাজম শব্দটি গঠিত হয়েছে। প্লাজমামেমব্রেন দিয়ে পরিবেষ্টিত নিউক্লিয়াস ব্যতীত প্রোটোপ্লাজমীয় অংশই হচ্ছে সাইটোপ্লাজম। এটি প্রোটোপ্লাজমের বৃহৎ অংশ যা প্লাজমামেমব্রেন হতে নিউক্লিয়ার মেমব্রেন পর্যন্ত বিস্তৃত।
সাইটোপ্লাজমের চিত্র |
সাইটোপ্লাজম কী? Cytoplasm কাকে বলে?
সাইটোপ্লাজমে যে অর্ধস্বচ্ছ, কলয়েডধর্মী অর্ধতরল পদার্থ থাকে তাকে সাইটোপ্লাজমিক ম্যাট্রিক্স (ধাত্র বা মাতৃকা) বা হায়ালোপ্লাজম বলে। হায়ালোপ্লাজমকে বর্তমানে সাইটোসল বলা হয়। সাইটোসল দুটি অঞ্চলে বিভেদিত, যথা - এক্টোপ্লাজম (পরিধির দিকের ঘন অঞ্চল) এবং এন্ডোপ্লাজম (কেন্দ্রস্থ কম ঘন অঞ্চল)।
এন্ডোপ্লাজমে সজীব অঙ্গাণু ও নির্জীব বস্তু ভাসমান থাকে। সাইটোপ্লাজমের যে স্তরটি কোষগহ্বরকে পরিবেষ্টন করে তাকে টনোপ্লাজম বলে। সাইটোপ্লাজমের আপেক্ষিক গুরুত্ব পানি অপেক্ষা বেশি। উত্তাপ, এসিড ও অ্যালকোহলের প্রভাবে এটি জমাট বাঁধে। এতে অজৈব পদার্থের মধ্যে পানিই সবচেয়ে বেশি (৬৫-৯৬%) থাকে এবং এতে দ্রবীভূত অবস্থায় প্রায় ৩৬ ধরনের জৈব ও অজৈব পদার্থ থাকে।
জৈব পদার্থের মধ্যে প্রোটিন সবচেয়ে বেশি থাকে, এছাড়া লিপিড, কার্বোহাইড্রেট, নিউক্লিক এসিড উল্লেখযোগ্য। সাইটোপ্লাজম অর্ধস্বচ্ছ, দানাদার ও কলয়েডধর্মী।
সাইটোপ্লাজম এর কাজ কি?
১. কোষীয় অঙ্গাণু বা ক্ষুদ্রাঙ্গ ধারণ করাই সাইটোপ্লাজমের প্রধান কাজ।
২. এটি জৈবিক ও বিপাকীয় কাজ পরিচালনা করে।
৩. রেচনদ্রব্যসহ বিভিন্ন বর্জ্য পদার্থ নিষ্কাশন করে।
৪. কোষের অম্লত্ব ও ক্ষারকত্ব নিয়ন্ত্রণ করে।
৫. উত্তেজনায় সাড়া দিয়ে জীবের বৈশিষ্ট্য প্রদর্শন করে।
৬. পানি পরিশোষণে সহায়তা করে।
৭. সাইক্লোসিস বা আবর্তনের মাধ্যমে অঙ্গাণুসমূহের নড়াচড়ায় সহায়তা করে।
তথ্যসূত্র: একাদশ - দ্বাদশ শ্রেণির বই (রাশেদ কারামী) {alertInfo}
Read More:
১. প্লাস্টিড কী? প্লাস্টিড কত প্রকার ও কি কি?
২. প্রাণীর বৈজ্ঞানিক নাম লেখার নিয়ম
৩. রাইবোজোমকে প্রোটিন ফ্যাক্টরি বলে কেন?