সাওম বা রোজার ভঙ্গের কারণ কয়টি ও কি কি? | Fasting In Islam
byOnline Web Trigger 💡•
0
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় দ্বীনি ভাই ও বোনেরা, আশা করছি সবাই ভালো আছেন। আর কিছু দিন পরেই রমজান মাস। আর এই রমজান মাসের গুরুত্ব ও ফজিলত অনেক বেশি বাকি মাস গুলোর তুলনায়। তাই মনে হল রমজান মাস নিয়ে লিখা প্রয়োজন। আজকে এই লেখাটির মাধ্যমে জানতে পারবেন সাওম কী, রোজার নিয়ত ও ইফতারের দোয়া, সাওম বা রোজা ভঙ্গের কারণ কয়টি ও কি কি ইত্যাদি। এককথায় বলতে গেলে, সাওম বা রোজা সংক্রান্ত বিস্তারিত জানতে পারবেন। ইনশাআল্লাহ
সাওম আরবি শব্দ। এর ফার্সি প্রতিশব্দ হলো রোযা। সাওম এর আবিধানিক অর্থ হলো বিরত থাকা। ইসলামি শরিয়তের পরিভাষায় সাওম হলো - সুবহে সাদিক থেকে সূর্যস্ত পর্যন্ত আল্লাহুর সন্তুষ্টি লাভের আশায় নিয়তের সাথে পানাহার ও ইন্দ্রিয় তৃপ্তি থেকে বিরত থাকা।
সকল প্রাপ্ত বয়স্ক নারী ও পুরুষের অপর ১ মাস সাওম পালন করা ফরয। সাওম বা রোযা হল ইসলামের ৫ম স্তম্ভের একটি।
সাওমের নৈতিক শিক্ষা
সাওম ফরজ হওয়ার দলীল হল এটি সকল নবী ও রাসূলদের অপর ফরয ছিল অর্থাৎ সকল নবী-রাসূল এক মাস সাওম পালন করেছেন বলে এটি আমাদের অপরও ফরয হয়ে গেছে।
সাওমের মাধ্যমে মানুষের মনে আল্লাহভীতি ও আল্লাহর প্রতি ভালোবাসা সৃষ্টি হয়। আল্লাহর ভালবাসা ও ভয়ে একজন প্রকৃত ঈমানদার বান্দা ক্ষুধা ও তৃঞ্চায় কাতর হয়েও সাওম ভঙ্গ করে না।
মহান আল্লাহ কুরআনুল কারীমে বলেন:
"তোমাদের উপর রোজা ফরয করা হয়েছে। যেমন করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের উপর। যেন তোমরা তাকওয়া অর্জন করতে পারো" (সূরা আল-বাকারা, আয়াত-১৮৩)
উক্ত আমাদের আয়াতের মাধ্যমে রোজা সাওম ফরজ হওয়ার দলীল পাওয়া যায়।
অন্যদিকে মহানবি হযরত মুহাম্মদ (স.) বলেছেন : সাওম (রোযা) ঢালস্বরুপ। (বুখারি ও মুসলিম)
সাওমের সামাজিক শিক্ষা
রোজা রাখার ফলে একজন ব্যাক্তি ক্ষুধার জ্বালা যে কেমন হতে পারে তা বুঝতে আর বাকি থাকে না। এর মাধ্যমে একজন ধনী ব্যাক্তি গরিবের না খেয়ে থাকার কষ্ট বুঝতে পারে।
সিয়াম বা রোযার মাধ্যমে সহানুভুতি ও সহমর্মিতা সৃষ্টি হয়। রমজান মাসে রাসুলুল্লাহ (স.) নিজে দান সাদকা করতেন এবং অন্যদের ও উৎসাহিত করেছেন।
সাওমের ধর্মীয় ও সামাজিক গুরুত্ব
সকল সৎকাজের প্রতিদান আল্লাহ দশগুন থেকে সাতশত গুন পর্যন্ত বাড়িয়ে দেন। হাদিস কুদসিতে আল্লাহু তায়ালা বলেন- সাওম আমার জন্য আর আমি নিজেই এর প্রতিদান দেব। (বুখারি)
এছাড়াও মহানবি (স.) বলেছেন- যে ব্যক্তি আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস ও সাওয়াবের আশায় রমযান মাসে রোযা রাখে, আল্লাহ তায়ালা তার পূর্বের সমস্ত পাপ ক্ষমা করে দেন। (বুখারি)
রোজার দিনে একে সেহেরি ও ইফতার করায় এবং অভাবীকে আর্থিকভাবে সহযোগিতা করে। এতে পরস্পরের মধ্যে ভ্রাতৃত্ববোধ সৃষ্টি হয় এবং সামাজিক বন্ধন আরও মজবুত ও শক্তিশালী হয়।
বাংলা অর্থ:হে আল্লাহ! আমি আগামীকাল পবিত্র রমজানের তোমার পক্ষ থেকে নির্ধারিত ফরজ রোজা রাখার ইচ্ছা পোষণ (নিয়ত ) করলাম। অতএব তুমি আমার পক্ষ থেকে পানাহার থেকে বিরত থাকাকে কবুল কর, নিশ্চয়ই তুমি সর্বশ্রোতা ও সর্বজ্ঞানী।
ইফতারের দোয়া আরবি ও বাংলা অর্থসহ
আরবি উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা লাকা ছুমতু ওয়া আলা রিযকিকা আফতারতু।
বাংলা অর্থ:হে আল্লাহ! আমি আপনার উদ্দেশ্যেই রোজা পালন করেছি এবং আপনারই দেওয়া রিজিক দ্বারাই ইফতার করছি।
সাওম বা রোজার ভঙ্গের কারণ কয়টি ও কি কি?
নিম্নোক্ত বিশেষ কয়েকটি কারণে রোযা ভঙ্গ হতে পারে। যে যে কারণে সাওম ভঙ্গ হতে পারে তার কয়েকটি কারণ নিম্নে দেওয়া হল:
১. মহিলাদের হায়েয ও নিফাসের কারণে রক্ত বের হলে
২. হস্তমৈথুন করলে
৩. ইচ্ছাকৃতভাবে বমি করলে
৪. স্ত্রী সহবাস করলে
৫. শিঙ্গা লাগানো বা এমন জাতীয় কোন কাজ করার কারণে রক্ত বের করলে
৬. পানাহার বা খাদ্য গ্রহণ করা
৭. ধূমপান করলে।
২০২২ সালের রমজান কত তারিখ
আমদের বাংলাদেশে রোজা শুরু হতে পারে ২০২২ সালের ক্যালেন্ডার অনুসারে ২০২২ সালেরএপ্রিল মাসের ৩ তারিখে।
সাওম ঢালস্বরূপ কোন হাদিস, সাওম কাকে বলে, সাওম কত প্রকার, রোজা কাকে বলে, সাওম পালনের মূল উদ্দেশ্য কি, সাওম এর পরিচয়, সাওমের গুরুত্ব ও তাৎপরর্য, সিয়াম শব্দের আবিধানিক অর্থ কি, সাওম ভঙ্গের কারণ কয়টি, সাওম শব্দের অর্থ কি, সাওম বলতে কি বুঝ, সাওম এর পরিচয়, সাওম বলতে কি বুঝ, Fasting in Islam, সাওম এর আরবি সংজ্ঞা, রোজার নৈতিক শিক্ষা, রোজার নিয়ত আরবি এবং বাংলা, রোজার নিয়ত বাংলা অর্থ সহ, রোজার নিয়ত আরবি, রোজার নিয়ত ও ইফতারের দোয়া বাংলা, ইফতারের দোয়া আরবি ও বাংলা, ইফতারের দোয়া ছবি, রোজার নিয়ত করা কি ফরজ, রোজা শব্দের বাংলা অর্থ কি, রোজা রাখার নিয়ম, সাওম ফরজ হওয়ার দলীল, রোজা কেন ফরজ করা হয়েছে, রমজান ২০২২ কত তারিখে